Saif
Senior Member
- Jan 24, 2024
- 12,627
- 7,011
- Origin
- Residence
- Axis Group
- Copy to clipboard
- Thread starter
- #13
১৯৭৪ সালের প্রথম দিকে বিদেশ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ফিরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য কম্ব্যাট ইউনিফর্ম (পোশাক) চালু করার কথা বলেন। লে. কর্নেল এস এ এম খালেদের নেতৃত্বাধীন ডিএসওর একটি দল সেনাবাহিনীর উপযোগী কম্ব্যাট পোশাক উন্নয়ন করেন। ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের এক প্লাটুন সৈনিককে উন্নয়নকৃত কম্ব্যাট ইউনিফর্ম পরিয়ে গণভবনে বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হয়। তৎকালীন খাকি ইউনিফর্মের বিপরীতে কম্ব্যাট ইউনিফর্ম শোভিত স্মার্ট সৈনিক দল দেখে বঙ্গবন্ধু মুগ্ধ হন ও বিষয়টি অনুমোদন করেন। বঙ্গবন্ধু তাৎক্ষণিকভাবে ডিএসও প্রধানকেও পুরস্কৃত করেন। ১৯৯৯ এর এক বসন্তের সন্ধ্যায়, ঢাকা সেনানিবাসে নিজ বাসভবনে কর্নেল খালেদ এই লেখককে রোমাঞ্চকর এই ঘটনাটির বর্ণনা করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় টেস্ট এ্যান্ড ট্রায়ালের মাধ্যমে উন্নয়নকৃত কম্ব্যাট পোশাক ১৯৮০ দশকের প্রথমদিকে সেনাবাহিনীতে চালু করা হয়। ১৯৮০ এর দশকে এই 'প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান সংস্থা'কে বিলুপ্ত করা হয়। বর্তমান বাস্তবতার আলোকে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়/আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের অধীনে একটি প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বাংলাদেশ ডিফেন্স রিসার্চ অর্গানাইজেশন) গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা অস্ত্র বা সরঞ্জামাদির প্রটোটাইপ (মূল নমুনা) তৈরি করবে এবং পরবর্তীতে সমরাস্ত্র কারখানায় বা অন্যকোন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেই প্রোডাক্ট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, গত পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অনেক মেধাবী বাঙালী বিজ্ঞানী/প্রকৌশলী/অধ্যাপক প্রতিরক্ষা গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন এবং ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. কুদরত ই খুদা (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাইনটিফিক এ্যাডভাইজার) ও ড. আবদুল মতিন চৌধুরী (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীফ সাইনটিস্ট)। অন্যদিকে ভারতে 'মিসাইল ম্যান' খ্যাত সাবেক প্রেসিডেন্ট এ পি জে আবদুল কালাম প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী হিসেবে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণা কর্মসূচীকে সমন্বিত করা প্রয়োজন।
To be continued...............
To be continued...............